পূবালী ব্যাংক এর সুবিধা সমূহ বিস্তারিত জানুন ?
আপনি কি পূবালী ব্যাংক সম্পর্কে সকল তথ্য খুজতেছেন। অনেক জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু এখনো পর্যন্ত জানতে পারেননি পূবালী ব্যাংকের সুবিধা সমূহ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো। তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই কেননা এখানে বিস্তারিতভাবে বলা হবে পূবালী ব্যাংক এর সুবিধা সমূহ এবং সার্ভিস চার্জ সম্পর্কে।
বর্তমান সময়ে মানুষ ব্যাংক সংক্রান্ত তথ্যগুলো বেশি পছন্দ করছে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম পূবালী ব্যাংক। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বিষয়গুলো খুজে থাকে। সঠিক তথ্য জানানোর জন্য এই আর্টিকেলটি তৈরি করা হয়েছে।
পূবালী ব্যাংক এর সুবিধা - মুল্ভাব
আমাদের এই বাংলাদেশে প্রচুর ব্যাংক রয়েছে। গ্রাহক বৃদ্ধির জন্য প্রতিনিয়ত আকর্ষণীয় কিছু সুযোগ-সুবিধা এবং লোন ইন্টারেস্ট রেট প্রদান করে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পূবালী ব্যাংক। বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ গ্রাহক রয়েছে এই ব্যাংকে। ইতিপূর্বে এই ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছে তারা জানে এ ব্যাংক কি ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে।
নতুন গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে বলা উচিত একটি ব্যাংকের সবকিছু ভালো হলে ব্যাংকে গ্রাহক সংখ্যা বেশি হয়। এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন পূবালী ব্যাংক কত ধরনের সুবিধা প্রদান করে এজন্য এ ব্যাংকে গ্রাহক লক্ষ লক্ষ। বিভিন্ন ধরনের লোন নিতে পারবেন এখান থেকে। শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, বেকার ও প্রবাসী লোন দিয়ে থাকে পূবালী ব্যাংক লিমিটেড।
গ্রাহকদের সুবিধার জন্য প্রতিনিয়ত লোন ইন্টারেস্ট রেট কমানো হয়। লোন পরিশোধের মেয়াদ দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় গ্রাহক উপকৃত হয়। ওর আসুন আমরা পূবালী ব্যাংক সম্পর্কে সকল অজানা তথ্যগুলো জেনে নেই।
পূবালী ব্যাংক সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
পূবালী ব্যাংক বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক ব্যাংক। এই ব্যাংকটি বাংলাদেশের বাণিজ্য খাতকে আরো উন্নত করে তুলেছে এবং এই নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করে। বহু পুরনো একটি ব্যাংক যা ১৯৫৯ সালে তৈরি করা হয়েছিল। তবে সময় পরিবর্তনের কারণে ব্যাংকের মালিক এবং একাধিক মালিক দ্বারা পরিচালনা করা হয়েছে।
ব্যাংকটি ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক শেয়ার বাজার নিয়ে কাজ করে। মূল কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা, মতিঝিল এ অবস্থিত। পূবালী ব্যাংক কর্তৃক সর্বমোট ৭ ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। টাকা জমা রাখা, বিশ্বের যে কোন দেশের টাকাকে বাংলাদেশের টাকায় পরিবর্তন করে গ্রাহকদের প্রদান করা,
গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী ঋণ প্রদান, ব্যাংকিং কার্ড যেমন ডেভিড, ক্রেডিট। মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে বিল পরিশোধ করা, বিভিন্ন ফান্ড পরিচালনা করা। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলে একটি করে শাখা রয়েছে যা এলাকার উন্নয়ন এবং গ্রাহকের আর্থিক সহযোগিতা করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত।
এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ব্যাংকের কিছু শাখা রয়েছে যা দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখে । বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে থেকে ব্যাংক এটি পুরস্কার পেয়েছে। প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছে নতুন নতুন টেকনোলজি ব্যবহার করে ব্যাংকিং সেবা কে আরো উন্নত করতে।
লোন আবেদন করার নিয়ম
লোনের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে দুইটি উপায়ে রয়েছে। প্রথমত অনলাইনে এবং দ্বিতীয়ত ব্যাংকের যেকোন শাখায় যোগাযোগ করে। দুই উপায়ে আবেদন করার জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে। আসুন আমরা নিয়ম গুলো বিস্তারিত জেনে নেই।
- লোনের ধরন নির্ধারণ করা - এখানে লোনের ধরন বলতে বোঝানো হয়েছে, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রকার লোন দেওয়া হয় যেমন ব্যক্তিগত, গৃহ নির্মাণ, শিক্ষা, ব্যবসায়িক, গাড়ি এ কয়েক ধরনের ঋণ প্রদান করা হয়। অবস্থান অনুযায়ী ঋণের ধরন নির্বাচন করুন।
- আবেদন করার জন্য ফরম পূরণ - অনলাইন থেকে আবেদন করতে চাইলে পূবালী ব্যাংকের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি আবেদন পত্র সংগ্রহ করে ডাউনলোড করুন এবং পূরণ করুন। এছাড়া যে কোনো শাখা থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে তাদের কর্মকর্তাদের সাহায্য নিয়ে পূরণ করতে পারেন।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্র - লোন আবেদন করার জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন পড়বে। এখানে বিভিন্ন ধরনের তথ্য লাগে সবগুলো জমা দিতে হবে।
- ক্রেডিট স্কোর যাচাই করা - ইতিপূর্বে যারা পূবালী ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছেন এবং তাদের সাথে লেনদেন করেছেন। পরবর্তীতে লোন নেওয়ার সময় কিছু ছাড় দেওয়া হবে এবং অধিক টাকা ঋণ প্রদান করা হয়। এছাড়া ঋণ মঞ্জুর করার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। তবে একেবারে নতুন গ্রাহকদের জন্য ক্রেডিট স্কোর প্রযোজ্য নয়।
- শর্তাবলী এবং ঋণ বিতরণ - লোন নেওয়ার পূর্বে কিছু শর্ত দেওয়া হবে যেমন লোন ইন্টারেস্ট রেট, মাসিক কিস্তি পরিষদের সময়সীমা এবং পরিমাণ, ঋণের মেয়াদ সব কিছু মেনে নিতে পারলে ঋণ পাওয়ার সম্ভাবনা আরো বেড়ে যায়। সবগুলো বিষয়ে ভালোভাবে যাচাই করার পর কর্তৃপক্ষ সঠিক গ্রাহক মনে করলে ঋণ বিতারণ করবে
লোন আবেদন করতে কি কি কাগজ লাগে
লোন আবেদন করার জন্য কিছু জরুরী কাগজপত্র প্রয়োজন পড়ে।কি কি কাগজ লাগবে আসুন বিস্তারিত জেনে নেই।
- আবেদনপত্র - পূবালী ব্যাংক কর্তৃক লোন আবেদন ফরম।
- পরিচয় পত্র - nid card, পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন (এই তিনটির মধ্যে যেকোনো একটি হলেই হবে)।
- বর্তমান ঠিকানা এবং স্থায়ী ঠিকানা - বাসা ভাড়া থাকলে (চুক্তি রশিদ), যে এলাকায় বসবাস করেন এলাকার নাম, থানা, জেলা।
- ইনকামের প্রমাণ - ঋণ প্রদান করা হয় আপনার মাসিক ইনকামের ওপর নির্ভর করে। ইনকাম বেশি থাকলে বেশি টাকা লোন নিতে পারবেন। ইনকাম কম হলে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ঋণ নিতে পারবেন।
- ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে একজন জামিনদার লাগবে যে আপনার অনুপস্থিতিতে লোন পরিশোধ করবে।
- মোট সম্পত্তির পরিমাণ - যেমন গরু, ছাগল, জমি।
- ব্যাংক একাউন্টের তথ্য, বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাংকের স্টেটমেন্ট থাকলেই হবে।
- ক্রেডিট কার্ড থাকলে এর রশিদ এবং লেনদেনের রশিদ।
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
পূবালী ব্যাংকে লোন নেওয়ার জন্য আপনার এই তথ্যগুলো অবশ্যই থাকতে হবে।অবশ্যই সকল তথ্য সঠিক দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
পূবালী ব্যাংক এর সুবিধা
বেশ অনেকগুলো সুবিধা প্রদান করে পূবালী ব্যাংক লিমিটেড। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে।
সারাদেশে হাজার হাজার শাখা রয়েছে। বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত থেকে পূবালী ব্যাংক ব্যবহার করতে পারবেন।
অনলাইন ব্যাংকিং সেবা। এতে ঘরে বসে খুব সহজে অ্যাপস ব্যবহার করে টাকা লেনদেন করতে পারবেন।
ক্রেডিট কার্ড এবং ডেবিট কার্ড এর মাধ্যমে লোন প্রদান এবং ঋণ সুবিধা।
পূবালী ব্যাংক এর গ্রাহকদের জন্য প্রতিনিয়ত কাস্টমার সার্ভিস দিয়ে চলেছে। গ্রাহক তাদের কাস্টমার কেয়ার নাম্বারে ফোন দিলে তাদের সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি সমাধান করা হয়।
এটিএম কার্ড এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।
প্রত্যেক গ্রাহকের তথ্যের সিকিউরিটি প্রদান করে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
ছোট থেকে বড় ব্যবসা পর্যন্ত সব কিছুতে পূবালী ব্যাংক লোন দেয়।
লোন ইন্টারেস্ট রেট, ডিপোজিট এবং সেভিংস সুবিধা রয়েছে।
গ্রাহকদের প্রতিনিয়ত আকর্ষণীয় অফার দেয়। যা স্বল্প ইন্টারেস্টে প্রদান করে।
পূবালী ব্যাংক লোন ইন্টারেস্ট রেট
- পার্সোনাল লোন - সুদের হার ১০% থেকে ১৫ % পর্যন্ত।
- হোম লোন - ৮% থেকে ১৩ % পর্যন্ত।
- যানবাহন লোন - ৮% থেকে ১৩ % পর্যন্ত।
- শিক্ষা লোন - ৭% থেকে ১২% পর্যন্ত।
- ব্যবসা লোন - ৮% থেকে ১৪% পর্যন্ত।
- ফিক্সড ডিপোজিট রেট - ৭% থেকে ১০ % পর্যন্ত।
- কৃষি লোন - ৫% থেকে ৭% পর্যন্ত।
উল্লেখিত লোন ইন্টারেস্ট রেট প্রতি বছর প্রযোজ্য। তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা অনুযায়ী সুদের হার কম এবং বেশি হতে পারে।
পূবালী ব্যাংক এর সুবিধা - শেষ কথা
আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনাদেরকে পূবালী ব্যাংক সম্পর্কে সকল তথ্যগুলো জানানোর চেষ্টা করেছি। এছাড়া পূবালী ব্যাংকের কি ধরনের সুবিধা পাওয়া যায় তা বিস্তারিত বুঝেছি। আশা করি কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর গুলো জানতে পেরেছেন। নিজের উপকৃত হলে অবশ্যই নিকটস্থ আত্মীয় কিংবা বন্ধুদের মধ্যে শেয়ার করবেন যাতে পূবালী ব্যাংক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারে।
এছাড়াও নিত্য নতুন তথ্য জানতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখতে ভুলবেন না। মানুষকে সঠিক তথ্য দেওয়াই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url